,

খুলনায় নাশকতার মামলায় আ.লীগ নেতা কারাগারে

খুলনা অফিস: খুলনায় পুলিশের দায়ের করা একটি নাশকতা মামলায় রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ২৯ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রূপসা থানায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার একটি ‘গায়েবি’ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতার নাম হান্নান শেখ। তিনি শ্রীফলতলা ইউনিয়নের ৪নং বাধাল ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। হান্নানের বাবা মরহুম মুনছুর আলী শেখও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার চাচা আবদুর রাজ্জাক শেখ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফি মল্লিক বলেন, ‘হান্নানের বাবা-চাচাসহ পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ করে। আমাদের এখানে দলের মধ্যে গ্রুপিং। ওরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

গত ২৯ অক্টোবর রূপসা থানার যে মামলায় হান্নান শেখকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে (মামলা নং-২৮), সেখানে মোট আসামি ২২ জন। এর মধ্যে ১৪ নম্বর আসামি হান্নান শেখ। অন্য ২১ জনই স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মামলার বাদী রূপসা থানার এস আই তাকবীর হোসাইন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২৮ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রূপসার আইচগাতী ইউনিয়নের রাজাপুর জয়বাংলা মাঠের পূর্ব কোনে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা সরকার পতন ও জনগণের সম্পদ ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে অবস্থানরত জামায়াত-বিএনপির দুস্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ শটগান দিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই রাতে একটি বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু গুলি বা বোমার কোনো আওয়াজ তারা শোনেননি।

হান্নানের চাচাতো ভাই ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মিজান শেখ বলেন, সকালে আমরা একসঙ্গে সরকারের উন্নয়ন প্রচারণার শোভাযাত্রায় অংশ নেই। রাতে বাড়ি ফিরে শুনি, হান্নানকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাগে দল ক্ষমতায় আর আমার ভাই ভুয়া মামলায় জেল খাটতেছে, এই দুঃখের কথা কার কাছে কবো?’

এ অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বাদী এস আই তাকবীর হোসাইন বলেন, মামলায় যাদের নাম এসেছে বা যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। কে কোন দল করে তা দেখার বিষয় নয়।

রূপসা থানার ওসি মো. শাহীন বলেন, ‘কতোজন তো কতো কথা বলে। সবার কথা ধরতে হয় না।’

এই বিভাগের আরও খবর